ডেস্ক রিপোর্ট: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশী কূটনীতিকদের জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবে। তবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ, বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পর।
রবিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের আবাসিক প্রধানদের ব্রিফ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, সবকিছু সংস্কারের পর যত দ্রুত সম্ভব অবাধ,সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ হলো যত দ্রুত সম্ভব একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তবে এর আগে নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ,বেসামরিক প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমের আমূল সংস্কারের মাধ্যমে একটা উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হবে।’
পরে এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণ করে। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মত বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন।
শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা কূটনীতিকদের জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁর সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র আন্দোলনের সময় যে হত্যাকান্ড ঘটেছে তাঁর নিরপেক্ষ তদন্তে জাতিসংঘ তদন্তদলকে স্বাগত জানিয়েছেন।
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা উল্লেখ করে তিনি কূটনীতিকদের বলেন, ‘আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। এই দেশের পুনঃনির্মাণের জন্য আপনাদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
ব্রিফিং শেষে তিনি কূটনীতিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।