মোঃ জাকির হোসেন:: টানা দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে হারিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আরফানুল হক রিফাত। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হকের (সাক্কু) চেয়ে ৩৪৩ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুসিক নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিফাত (নৌকা প্রতিক) পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
এ ছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।
পুরোপুরি ইভিএমে হওয়া এই নির্বাচনের ভোটের ফল সন্ধ্যার পর থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ঘোষণা করা হয়।
এই ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের গত দুই মেয়াদের মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু)। তিনি বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে শেষ মুহূর্তে কয়েকটি কেন্দ্রের ফল আটকে রেখে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা শুরু হয়। এই নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
ভোটগ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, এ নির্বাচনে প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা তিনি পাননি। বেশকিছু ভোটকেন্দ্রে তার লোকজনকে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোথাও মারধরও করা হয়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানান নৌকার প্রার্থী।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। এ সিটিতে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও আমরা পাইনি।